মোঃ আবির হোসেন এর জীবনী

নিচে আপনাদের জন্য মো আবির হোসেন এর জীবনী জীবনের প্রথম থেকে এই প্রজন্ত আসার গল্প ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে । তাই দেরি  না করে মো আবির হোসেন এর জীবনী সম্পর্কে জেনে নিন।

নামঃ মোঃ আবির হোসেন

আব্বুর নামঃ আব্বুর রাজ্জাক

আম্মুর নামঃ মোছাঃ আছমা বেগম

আমি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনিন্সটিটিউট থেকে ,পাওয়ার ডিপার্টমেন্ট থেকে ডিপ্লোমা শেষ করেছি ।

এখন অর্ডিনারি আইটি তে ডিজিটাল মার্কেটিং এ কোর্স করছি

মো আবির হোসেন এর বিভাগ ঃ রাজশাহী

জেলাঃ নাটোর 

থানাঃ সিংড়া 

ইউনিয়নঃ শেরকল

পোস্ট অফিসঃ ভাগ নাগরকান্দি

গ্রামঃ ভাগ নাগরকান্দি

মো আবির হোসেন এর ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল কম্পিউটার নিয়ে পড়া। বড় হয়ে ভালো একটি ফ্রিল্যান্সার হওয়া। এজন্য তিনি এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ডিপ্লোমায় কম্পিউটার সাবজেক্টে অনেকগুলো কলেজে চয়েজ দেন, কিন্তু তার পয়েন্ট ৪.৫০ হওয়াই, কম্পিউটার সাবজেক্টে চান্স পায়না, কিন্তু ডিপ্লোমায় পাওয়ার ডিপার্টমেন্টে চান্স পায় , তখন কিছু করার ছিল না তাই পাওয়ার ডিপার্টমেন্ট থেকে ডিপ্লোমা শেষ করে, কিন্তু তার স্বপ্ন ছিল ভালো ফ্রিল্যান্সার হওয়া, এজন্য তিনি অর্ডিনারি আইটিতে ভর্তি হয় ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য। এখন তিনি জব করছেন অর্ডিনারি আইটি তে।

তিনি ক্লাস ওয়ান থেকে নিয়মিত ছাত্র ছিলেন প্রতিদিন স্কুলে জেতেন খেলাধুলা করতেন ইত্যাদি এমনভাবে চলছিল দিনকাল যখন সে তৃতীয় শ্রেণীতে ফাইনাল পরীক্ষা দেয় তখন তার জীবনে নতুন একটা চমক ঘট্ট। তিনি তৃতীয় শ্রেণীতে ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে আবার ক্লাস নাইনে যাইয়া ভর্তি হয়। এখন ভাবছেন এইটা কেমনে সম্ভব, ছোট্ট একটি ছেলে ক্লাস তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে সে আবার লাফ  দিয়ে কেমনে ক্লাস নাইনে ভর্তি হলো।

চলুন তাহলে জেনে নিন, ক্লাস তৃতীয় শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত এর মাঝখানের গল্প।

ক্লাস তৃতীয় শ্রেণীর পর থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত এর মাঝখানে তিনি মাদ্রাসায় পড়েন।😊

মো আবির হোসেন এর কলেজ লাইফ শুরু হয় ২০১৮ সালে, তিনি প্রথমে নাটোর টি এস সি কলেজে পাওয়ার ডিপার্টমেন্টে চান্স পায়। তখন থেকে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় সেমিস্টার ভালোভাবে শেষ হয়। চতুর্থ সেমিস্টারে ২০২০ সালে করোনা শুরু হয়, চতুর্থ সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা এপ্রিল মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু হবে রুটিন ও দিয়ে দেয়। কিন্তু মার্চ মাসের ১৮ তারিখে কলেজ গ্রুপে জানিয়ে দেওয়া হয় মার্চের ১৮ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত কলেজ ছুটি করোনার জন্য, তোমরা সবাই বাসায় যাও ১ তারিখের আগে সবাই মেসে চলে আইসো ১ তারিখ থেকে তোমাদের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হবে , তো মো আবির হোসেন হাসি খুশি মন নিয়া বাসায় চলে যায় অনেকদিন পর ছুটি পেলো। 

কিন্তু রাসেল ভাই বিশ্বাস করেন, ভাবতে পারেননি এই ১২ দিন প্রায় ২ বছর হয়ে যাবে। তার পর ২০২১ সালের শেষ এর দিকে তাদের টি এস সি কলেজ বন্ধ হয়ে যায় তখন তাদের কলেজ থেকে রাজশাহী পলিটেকনিক পলিটেক ইনস্টিটিউটে  ট্রান্সফার করিয়ে  দেয়। মো আবির হোসেন রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লমা শেষ করে ২০২২ সালে।

মো আবির হোসেন মেসে থাকে নবম শ্রেণী থেকে | মো আবির হোসেন জীবনে অনেক মেসে থাকছে অনেক আনন্দ করছে মজা করেছে কিন্তু রাজশাহী মেকাটনিক্স ছাত্রাবাস এর মত আনন্দ, মজা , বড় ভাইদের শাসন ভালোবাসা, এমন কোথাও কোনো মেছে পায়নি।

মো আবির হোসেন এর দ্বিতীয় পরিবার 

মো আবির হোসেন এর এক মাএ ভালোবাসার ও কাছের মানুষ গুলো

মো আবির হোসেন এর জীবনে কোন সফলতা নাই 😞 ,কিন্তু এখনো হাল ছাড়েননি কোন একদিন সফলতা অর্জন করবেন ইনশাআল্লাহ।

মো আবির হোসেন জীবনে  কোনদিন ব্যর্থ হয়নি, যে কোন কাজ হয় পেরেছেন না হয় শিখেছি।

সব চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়ে ,জীবনের একটাই লক্ষ্য ভালো  ফ্রিল্যান্সার হওয়া।