চুল পড়া বন্ধে আমলকী তেলের উপকারিতা

   আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুনচুল পড়া বন্ধে আমলকী তেলের উপকারিতা অন্য তেলের থেকে অনেক গুন বেশি। আমলকিতে থাকা কোলাজেন নতুন কোষ বা ফলিকল তৈরিতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। তাই আমলকীর তেল চুল পড়া বন্ধ করতে ব্যাপক সহায়তা করে। তাই চুল পড়া বন্ধ করার জন্য আমলকীর তেল ব্যাবহার করতে পারেন।

চুল-পড়া-বন্ধে-আমলকী-তেলের-উপকারিতা
আমরা আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করবো চুল পড়া বন্ধে আমলকী তেলের উপকারিতা গুলো কি কি। আপনি যদি সেই উপকারিতা গুলো ভালো ভাবে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেল টি ভালো ভাবে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পেজ সুচিপত্রঃ চুল পড়া বন্ধে আমলকী তেলের উপকারিতা গুলো জেনে নিন। 

চুল পড়া বন্ধে আমলকী তেলের উপকারিতা

চুল পড়া বন্ধে আমলকী তেলের উপকারিতা সবচেয়ে বেশি। চুলের জেল্লা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি চুল ঝরে যাওয়া ও খুশকি অ্যালোপেশিয়া সহ নানা সমস্যা দূর করতে আমলকির তেলের কোন বিকল্প নেই। তাই চুলে আমলকী তেল বাবহার করুন। আমলকি দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যা চুলের পেকে যাওয়া রোধ করতে সহায়ক। এবং এর তেল মাথায় মাখলে চুল পড়া বন্ধ হয়।

প্রতিদিন ৫০-১০০টা চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু যদি এর চেয়ে ও বেশি চুল পড়ে তাহলে আমলকির রস আপনার কাজে আসবে। আমলকিতে থাকা কোলাজেন নতুন কোষ সহ ফলিকল তৈরিতে এর বাপক ভুমিকা রয়েছে। ত্বক এবং চুলের যত্নে আমলকীতে থাকা ভিটামিন সি অপরিহার্য। আর ভিটামিন সি এর উৎস হল আমলকি। কাঁচা আমলকি খেলে বা আমলকির রস মাথায় মাখলে চুলের গোড়া মজবুত হবে। তাই চুল পড়া বন্ধে আমলকী তেলের উপকারিতা অন্য গুলোর চেয়ে অনেক গুন বেশি।
গরমে চুল নিয়ে নজেহাল হতে হয় কম বেশি সবাইকে। কারও চুল ঝরে যাচ্ছে আবার কারও খুশকির সমস্যা। তাই চুলের যাবতীয় সমস্যা সমাধান করে তাকে সুন্দর করার জন্য আমলকির তেলের ভূমিকা অনেক। আমলকীর তেল আমাদের চুল কে সুস্থ ও সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করে। চুলের জেল্লা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি চুল ঝরে যাওয়া, খুশকি, অ্যালোপেশিয়া সহ নানা সমস্যা দূর করতে এই ফলের তুলনা নেই।

চুলে আমলকির তেল ব্যবহার করলে কী হয় 

চুলে আমলকির তেল ব্যবহার করলে কী হয় তা জানতে হলে এই ছেদ টি ভালো ভাবে পড়ুন। আদিকাল থেকেই আমাদের চুলের যত্নের উপাদান হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে আমলকির তেল। চুলের বৃদ্ধির জন্য আমলকির তেলে রয়েছে অসাধারণ অনেক গুলো উপাদান। যা স্বাস্থ্যকর এবং চকচকে চুল পেতে অনেকেই এই আমলকির তেল কে ব্যবহার করে। আশা করি, এখন থেকে আপনি চুলের যত্নে সঠিক উপায়ে আমলকির তেল ব্যবহার করবেন এবং উপকৃত হবেন।

তেল হাতে নিয়ে মাথায় এবং চুলের গোড়ায় ভালোভাবে মালিশ করুন। নিয়মিত এভাবে ব্যবহার করলে চুলের গোড়া মজবুত হবে। সেই সাথে কমে আসবে চুল পড়ার পরিমাণ। এভাবে তেল মালিশ করলে মাথার রক্ত চলাচল বাড়বে এবং মাথা ঠাণ্ডা থাকবে। যে কারণে চুলের বৃদ্ধিও ভালো হয়। আমলকির অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য খুশকি দূর করে।

কীভাবে আমলকির তেল ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ হবে

কীভাবে আমলকির তেল ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ হবে চলুন জেনে নিই। চুল পড়ে যাওয়া আটকাতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকীর তেল বেশ কার্যকর একটি তেল। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পড়া কমার পাশাপাশি চুল হবে ঝলমলে। নিয়মিত যত্ন নিলে চিরতরে রোধ হয়ে যাবে এই চুল পড়া। চুলের যত্নে বাজার থেকে কেনা তেলের পরিবর্তে আপনার ঘরের তেল আমলকীর তেল ব্যবহার করতে পারেন। চুল পড়া বন্ধ বা চুলের যত্ন নিতে হলে অবশ্যই এই তেল ব্যবহার করতে হবে।

চুল ঝড়ে যাওয়া ও অকালে চুল নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হলে আমলকির তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই তেলটি পুরুষ এবং নারী উভয়ের জন্য খুব উপকারী একটি তেল। তাই আমলকির তেল ব্যবহারে অকালে চুল পেকে যাওয়া এবং চুল পড়া ঠেকানো যায়। এর জন্য এক কাপ নারকেল তেল এবং বীজ বার করা কয়েকটি আমলকি নিন আমলকি গুলো পিষে নিয়ে একটি পাত্রে রস ছেঁকে নিন। এবার একটি প্যানে নারকেল তেল এবং আমলকির রস ১০ থেকে ১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন।
আমলকির-তেল-ব্যবহারে-চুল-পড়া-বন্ধ-হবে
দেখবেন ফুটতে ফুটতে মিশ্রণটি বাদামি হয়ে যাবে। তারপর তেলটি একটি পাত্রে ছেঁকে ঠান্ডা ঠাণ্ডা কর নিন। এবার প্রতিদিন এই তেল ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে। আমলকীর তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পড়া কমার পাশাপাশি চুল হবে ঝলমলে স্বাস্থ্যউজ্জ্বল। চুল পড়া বন্ধে আমলকী তেলের উপকারিতা অনেক।

সুন্দর ও সুস্থ মজবুত চুল পেতে আমলকী

সুন্দর ও সুস্থ মজবুত চুল পেতে আমলকী ব্যবহার করুন। শুষ্ক চুল কে মসৃণ ও ঝরঝরে করার জন্য প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে আমলকী কে ব্যবহার করতে পারেন। আমলকীতে থাকা ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট ও খনিজ প্রয়োজনীয় কোলাজেন গুলো প্রোটিন তৈরি করে। কোলাজেন চুলের ফলিকলের মৃত কোষকে নতুন কোষে পরিণত করে। আমলকীর অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখে অ ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং খুশকি দূর করতে সহায়তা করে।

আমলকীর রস চুলের ফলিকল গুলো শক্তিশালী করে চুল কে মজবুত করে তুলে। এটি মাথার ত্বক ও চুলের টনিক হিসেবে দারুণ কাজ করে। নিয়মিত আমলকীর রস পান করলে এতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সাইড বয়সের আগে চুল পাকা রোগ থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। আমলকী মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় ও ত্বক কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহারে চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং চুল দেখতে হয় ঝলমলে।

আমলকির তেল কিভাবে চুলে ব্যবহার করব

আমলকির তেল যেভাবে চুলে ব্যবহার করব তা উল্লেখ্য করা হলো। বাজারে আমলকির পাউডার কিনে নিন। তারপর দুই চামচের মতো আমলকি পাউডার হালকা গরম পানির সঙ্গে মিশাতে হবে। এরপর তার সঙ্গে মেশাতে হবে এক চা চামচ মধু আর দুই চা চামচ টক দই। অতঃপর ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে সেটি চুলে লাগিয়ে নিন। এবং আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিন।
এছাড়াও, আমলকি টুকরা টুকরা করে কেটে নিয়ে আধা ঘণ্টার মতো পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই পানি ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন। এভাবে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। আমলকির রস গুলো বের করে নিতে হবে এবার সেই রস চুলের গোড়ায় লাগালে কোলাজেন বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে চুল লম্বা হবে দ্রুত। আমলকির রস লাগানোর পর কিছু ক্ষণ থামুন। এরপর শ্যাম্পু করে নিন। নিয়মিত এভাবে ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন। চুল পড়া বন্ধে আমলকী তেলের উপকারিতা সবচেয়ে বেশি।

চুলের যত্নে আমলকি ও মেথির ব্যবহার

চুলের যত্নে আমলকি ও মেথির ব্যবহার গুলো জেনে আপনি উপকৃত হবেন। তাহলে চলুন জেনে নি। চুল পড়া নারী পুরুষ সবার জন্যই ক্ষতিকর। কারণ, চুল মানুষের দৈহিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে চুল না থাকলে অনেক পুরুষ লজ্জাই মাথায় ক্যাপ পরে থাকেন। ক্যাপ দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে রক্ষা পান। তবে নারীদের জন্য ঘন কালো রেশমি চুলের বিকল্প নেই। নারীদের সৌন্দর্যের অন্যতম নিদর্শন হচ্ছে চুল। আর এই চুলের যত্নে আমলকি ও মেথির ব্যবহার করলে আপনি অনেক অনেক উপকৃত হবেন।

চুল পড়া ও নতুন চুল গজানোর বিষয়ে পুষ্টিবিদেরা জানান, চুল পড়ে যাওয়া বা নতুন চুল গজানো এ বিষয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণা তেমন কোনো সুনির্দিষ্ট পরীক্ষা নেই। তাই কি করলে চুল পড়া কমবে বা নতুন চুল গজাবে তা বলা কঠিন ব্যাপার। তবে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান আছে যা ব্যবহার করা যায়। সেগুলো হচ্ছে আমলকি ও মেথির ব্যবহার। এর ব্যাবহারে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। 

আমলকির তেল কিভাবে কাজ করে

আমলকির তেল কিভাবে কাজ করে চলুন জেনে নি। আমলকির তেল হাতে নিয়ে মাথার তালু এবং চুলের গোড়ায় ভালোভাবে মালিশ করতে হবে। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের ফলিকল মজবুত হবে, সেই সাথে কমে আসবে চুল পড়ার পরিমাণ। এভাবে তেল মালিশ করলে চুলের স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল ভালো হবে যার জন্য চুলের বৃদ্ধি হবে। আমলকির অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এর বৈশিষ্ট্য গুলো খুশকি দূর করতে কাজ করবে। এছড়াও, চুল পড়া বন্ধে আমলকী তেলের উপকারিতা অনেক গুন বেশি।

অনেকে মানুষ আছে যাদের  বয়স হওয়ার আগেই চুল সাদা হয়ে যায়। এক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান মিলতে পারে আমলকির তেল। আমলকির তেল চুল ঘন ও কালো করতে কাজ করে থাকে। সেই সাথে চুল করে ঝলমলে। আমলকী চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে কাজ করে। আমলকী চুলের অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট গুণ অক্সিডেটিভ জনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করে। এছাড়া, আমলকী অকালে চুল পড়ে যাওয়া থেকে বাচাতে কাজ করে। 

চুল ভালো রাখার জন্য ৩টি ঘরোয়া উপায়

চুল ভালো রাখার জন্য ৩টি ঘরোয়া উপায় জানার জন্য এই অংশ টুকু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। অনেকেই উজ্জ্বলতার জন্য বিভিন্ন ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকে। আবার অনেকেই অনেক ধরণের মেডিসিনও। কিন্তু চুল ভালো রাখার জন্য ৩টি ঘরোয়া উপায় অনেকেই জানে না। তাহলে চলুন জেনেনি সে ৩টি ঘরোয়া উপায়।

মেহেদি, আমলকি ও মেথির ব্যবহারঃ একটি কাচের পাত্র নিয়ে তাতে তিন চামচ মেহেদির গুঁড়া নিন। তার সঙ্গে মেশান দুই চামচ আমলকির গুঁড়া। এবার মেশান পরিমাণ মতো মেথির গুঁড়া। পরিমাণ মতো পানি দিন। পানি খুব বেশি কিংবা কম হবে না। ঘন একটি মিশ্রণ হবে। মিশ্রণটি তৈরি করে এক ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর পুরো মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে নিন। আশাকরি এতে আপনার চুল অনেকটা ভালো থাকবে।
মেহেদি এবং ডিমের বাবহারঃ এতে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও কন্ডিশনিং উপাদান। যা চুল ভালো রাখে এই প্যাক তৈরির জন্য দুই চামচ মেহেদির গুঁড়া নিন। তার সঙ্গে মেশান এক চামচ শিকাকাই পাউডার। এবার তাতে একটি ডিম মিশিয়ে নিন। এভাবে টানা ব্যবহার করলে চুল ভালো থাকবে। 

মেহেদি ও নারিকেলের দুধের ব্যবহারঃ আধা কাপ মেহেদির গুঁড়া নিন। তার সঙ্গে এক কাপ নারিকেল ও দুধ নিন। চার চামচ অলিভ অয়েল মেশান। প্রত্যেক উপাদান ভালো করে একটি বাটিতে মিশিয়ে টানা ব্যবহার করলে আশাকরি অনেক অনেক উপকার পাবেন। 

চুল পড়া বন্ধে আমলকী তেলের উপকারিতা সবার চেয়ে বেশি। এজন্য আমলকীর তেল বাবহারের কোন বিকল্প নেই। সেহুতু, চুল ভালো রাখার জন্য আমলকীর তেল বাবহার করুন।

চুলের যত্নে আমলকি তেল

চুলের যত্নে আমলকি তেল খুব উপকারি একটি তেল। এই তেল ব্যাবহারে পাবেন চকচকে ঝলঝকে উজ্জ্বল চুল। তাই চুল ভালো রাখতে আমলকীর তেল ব্যবহার করুন। আমলকীর তেল ব্যাবহারে চুলে জট পড়ে না। চুল পরিষ্কার রাখে ফলে চুলের বৃদ্ধি হয়। আপনাকে ঘন ও লম্বা চুল উপহার দিতে পারে আমলকি তেল। এর মধ্য়ে অনেক উপাদান আছে যা চুলে ভালো রাখে। 
চুলের-যত্নে-আমলকি-তেল
আমলকিতে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে। যা ভিটামিন সি এ ঠাকা এসব উপাদান চুলের প্রদাহ কমায়। আমলকি চুলের নানান সমস্যা সমাধান করে, আবার এর উপকারী উপাদানে আপনার চুলের বৃদ্ধিও হয় দেখার মতোই। তাই চুলের যত্নে আমলকি তেল একটি উপকারি তেল। এ তেল ব্যাবহারে আপনি অনেক উপকার পাবেন।

শেষ কথা

আমলকীকে আয়ুর্বেদে অমৃত ফল বলা হয়। যা হাতের কাছের অনেক অনেক উপকারি একটি ফল। তাই আপনার চুল ও ত্বক এবং সম্পূর্ণ শরীর কে ভালো রাখতে আমলকী ভালো অবদান রাখে। চুল পড়া বন্ধে আমলকী তেলের উপকারিতা অন্য তেলের থেকে অনেক গুন বেশি কাজ করে। 

ত্বক এবং চুলের যত্নে ভিটামিন সি যুক্ত আমলকী অপরিহার্য। তাই চুল পড়া বন্ধে আমলকী তেলের উপকারিতা অন্যান্য তেলের থেকে বেশি। সেহুতু, চুলের যত্নে আমলকি তেল বাবহার করতে পাড়েন। ২৮৯২৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url